জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কারের সংক্ষিপ্ত প্যাকেজে ডিসেম্বরে নির্বাচন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২০ এএম | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২০ এএম

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাতে তিনি এই উদ্বেগের কথা জানান।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ অত্যন্ত উদার। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমি সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই। আমরা এখানে আপনাদের সংস্কারকে সমর্থন জানাতে এসেছি। আমরা আপনার মঙ্গল কামনা করি। আমরা কী করতে পারি, আমাদের তা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সংস্কার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের ‘সত্যিকারের পরিবর্তন’ ঘটাবে। তিনি বলেন, আমি জানি, সংস্কারের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। গুতেরেস মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করতেও তিনি এখানে এসেছেন বলে জানান। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাসে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমি কোনও জনগোষ্ঠীকে এতটা বৈষম্যের শিকার হতে দেখিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ত্রাণ কাটছাঁট একটি অপরাধ, পশ্চিমা দেশগুলো এখন প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করছে এবং বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে। গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের ‘অশেষ কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ অত্যন্ত উদার।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমার কাছে একটি বিশেষ কেস। এমন একটি সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এর চেয়ে ভালো সময়ে আপনি আসতে পারতেন না। আপনার এই সফর শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী। প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুতেরেসকে অবহিত করে বলেন, প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্বারা গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। ড. ইউনূস বলেন, দলগুলো যখন ছয়টি কমিশনের সুপারিশ মেনে নিতে সম্মত হবে, তখন তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা হবে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয়, নির্বাচনি, প্রশাসনিক, দুর্নীতিবিরোধী ও পুলিশ সংস্কার বাস্তবায়নের নতুন নকশা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের ‘একটি সংক্ষিপ্ত প্যাকেজে’ সম্মত হলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে, তবে দলগুলো যদি সংস্কারের ‘বৃহত্তর প্যাকেজ’ মেনে নেয় তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ড. ইউনূস মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এবং ইতোমধ্যে ১২ লাখ শরণার্থীর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা সংগ্রহে মহাসচিবের সমর্থন কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। বিশ্ববাসীর জানা উচিত তারা কীভাবে কষ্ট পাচ্ছে। একটা হতাশা আছে এখানে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন এবং রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ কিছু অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদানের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ- বলে উল্লেখ করে তাদের কর্মপ্রচেষ্টা ‘অসাধারণ’ বলে জানানা জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সুন্দর বিশ্ব গড়ার জন্য সামনের সারিতে কাজ করছে। ড. ইউনূস বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করে বলেন, এসব দায়িত্বে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করে। তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন আমাদের কাছে অনেক কিছু। ভূ-রাজনীতি এবং সার্কের অবস্থা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়, যেখানে প্রফেসর ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার প্রচেষ্টা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা হিমালয়ের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ পানিবিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতকে সম্পৃক্ত করে একটি দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করে দেশকে একটি ‘অর্থনৈতিক কেন্দ্রে’ রূপান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বন্দর নির্মাণ করছে।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও জাপানসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পেয়েছে যেখানে একটি ভঙ্গুর ব্যাংকিং খাত রয়েছে, রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অর্থনীতি এখন সুসংহত হয়েছে। কয়েক মাস ধরেই রফতানি বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ভালো। প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এমন এক ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলাদেশ আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা বিগত সরকারের নেতৃত্ব ও তার সংশ্লিষ্টদের চুরি যাওয়া হাজার হাজার কোটি ডলার ফিরিয়ে আনতে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে চলা স্বৈরশাসনে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। আমরা টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এটি একটি জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এটি তাকে ১৯৭৪ সালের পর্তুগালে বিপ্লবের দিনগুলোতে তার সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।

ড. ইউনূস জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকার টুর্ককে ধন্যবাদ জানান, যা শেখ হাসিনা সরকারের নৃশংসতা ও সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ নথিভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, তিনি একটি চমৎকার কাজ করেছেন। নৃশংসতা সংঘটিত হওয়ার ঠিক পরেই তারা অপরাধগুলো নথিভুক্ত করেছিল। তারা আবার ফিরে আসুক এবং আরও কাজ করুক।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিভিন্ন দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’
গুলশানে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব
আছিয়ার বাড়িতে জামায়াত আমির, আর্থিক সহায়তাসহ পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস
মাত্র দুই মিনিটেই সড়ক ক্লিয়ার করে চক্রান্ত নস্যাৎ
তৃতীয় দিনেও কর্মব্যস্ত জাতিসংঘ মহাসচিব
আরও
X

আরও পড়ুন

বাউফলে উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রীর চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

বাউফলে উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রীর চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

সিরাজদিখানে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় অটোরিকশা খাদে, প্রাণ গেল কৃষকের

সিরাজদিখানে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় অটোরিকশা খাদে, প্রাণ গেল কৃষকের

খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

মামলা দেয়ার কথা বলে টাকা চাইবার কারবার করবেন না : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

মামলা দেয়ার কথা বলে টাকা চাইবার কারবার করবেন না : ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভুটানসহ ৪৩টি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ট্রাম্প

আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভুটানসহ ৪৩টি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ট্রাম্প

ঈদগাঁওতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত-১, আহত-৫

ঈদগাঁওতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত-১, আহত-৫

বিভিন্ন দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’

বিভিন্ন দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত সাংবাদিক আলা হাশিমের মৃত্যু

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত সাংবাদিক আলা হাশিমের মৃত্যু

ঝিকরগাছায় সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

ঝিকরগাছায় সংখ্যালঘু গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

গুলশানে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

গুলশানে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

বাবা খ্রিস্টান, মা হিন্দু তবু কেন মুসলিম পদবী ব্যবহার করেন দিয়া!

বাবা খ্রিস্টান, মা হিন্দু তবু কেন মুসলিম পদবী ব্যবহার করেন দিয়া!

নিকলীতে ২২ হাজার শিশুকে দেওয়া হয়েছে ভিটামিন এ

নিকলীতে ২২ হাজার শিশুকে দেওয়া হয়েছে ভিটামিন এ

আছিয়ার বাড়িতে জামায়াত আমির, আর্থিক সহায়তাসহ পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস

আছিয়ার বাড়িতে জামায়াত আমির, আর্থিক সহায়তাসহ পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হেলপার নিহত

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হেলপার নিহত

মির্জাপুরে মহাসড়কে উল্টে যাওয়া ট্রাক সরাতে গিয়ে শ্রমিক নিহত হাইওয়ে ওসি সার্জেন্টসহ চার পুলিশ আহত

মির্জাপুরে মহাসড়কে উল্টে যাওয়া ট্রাক সরাতে গিয়ে শ্রমিক নিহত হাইওয়ে ওসি সার্জেন্টসহ চার পুলিশ আহত

যানজট নিরসনের আইডিয়া দেয়ার জন্য বৃত্তি দিচ্ছে দুবাই

যানজট নিরসনের আইডিয়া দেয়ার জন্য বৃত্তি দিচ্ছে দুবাই

ট্রাম্পের আহ্বানের পর পুতিনের সিদ্ধান্ত, ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের ডাক

ট্রাম্পের আহ্বানের পর পুতিনের সিদ্ধান্ত, ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের ডাক

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নোয়াখালীর চৌমুহনী হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়ল ৬ দোকান

নোয়াখালীর চৌমুহনী হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়ল ৬ দোকান

কেরানীগঞ্জে মৌসুমি ব্রিকসে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

কেরানীগঞ্জে মৌসুমি ব্রিকসে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান